খুলনা: আগামী মঙ্গলবার (২২ জুন) থেকে খুলনায় শুরু হচ্ছে এক সপ্তাহের কঠোর ‘লকডাউন’। রোববার (২০ জুন) বিকেলে খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়, লকডাউন চলাকালীন সময়ে খুলনা রেলস্টেশনে ট্রেনের আগমন এবং বহির্গমন বন্ধ থাকবে। একইসঙ্গে জেলার অভ্যন্তরে অথবা আন্তঃজেলার গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকবে। এছাড়া ইজিবাইক, থ্রি হুইলার সব যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। খুলনা জেলা ও মহানগর পর্যায়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ ও সার্বিক ব্যবস্থাপনা কমিটির ১৯ জুনের সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক খুলনা জেলা ও মহানগরে আগামী ২২ জুন মঙ্গলবার থেকে ২৮ জুন সোমবার পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ এবং লকডাউন ঘোষণা করা হলো। আরও উল্লেখ করা হয়, আগামী ২২ জুন মঙ্গলবার থেকে ২৮ জুন সোমবার পর্যন্ত সব ধরনের দোকানপাট, মার্কেট, শপিংমল, কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও কাঁচাবাজারের দোকান প্রতিদিন সকাল ৭ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এ সময়ে হোটেল-রেস্তোরাঁ শুধু টেকওয়ে অথবা অনলাইনে খাবার সরবরাহ করতে পারবে। তবে ওষুধের দোকান সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে। এছাড়া সবধরনের পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। জেলার অভ্যন্তরে সবধরনের সাপ্তাহিক হাট অথবা গরুর হাট বন্ধ থাকবে। অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। বাইরে অবস্থানকালে সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে। তবে সরকারি-বেসরকারি অফিসের জরুরি কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিস চলাকালীন সময়ে তাদের নিজ নিজ অফিসের পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে বাইরে চলাচল করতে পারবেন। আইন শৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা যেমন- কৃষি উপকরণ, সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষিযন্ত্র ইত্যাদি খাদ্যশস্য ও খাদ্য দ্রব্য পরিবহন ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দর (স্থলবন্দর, নৌবন্দর ও সমুদ্র বন্দর) কার্যক্রম টেলিফোন ও ইন্টারনেট সরকারি-বেসরকারি গণমাধ্যম প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া, বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাকসেবাসহ অন্যান্য জরুরি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবা সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসগুলো তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এবং উৎপাদনশীল শিল্প ও কারখানা উৎপাদন কার্যক্রম বিধিনিষেধের আওতা বহির্ভুত থাকবে। এ শর্তাবলী খুলনা জেলা ও মহানগরের সংশ্লিষ্ট সবাইকে কঠোরভাবে মেনে চলাচলের জন্য বলা হলো। অন্যথায় দণ্ডবিধি ১৮৬০ ও সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন ২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।